৩০ জানুয়ারি বিকাল ৩ টায় আগরতলা সচিবালয় প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সাংবাদিক সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী । এদিন উল্লেখযোগ্য জনকল্যাণমূলক কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্রা হয়। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ।
রাজ্যে বর্তমান গনবন্টনের আওতায় মোট ২০৬০টি ন্যায্যমূল্যের দকান রয়েছে । বর্তমানে ৮০০ বা তার বেশি সংখ্যক রেশন কার্ড সম্পৃক্ত ন্যায্য মূল্যের দোকানগুলিকে ভেঙ্গে সারা রাজ্যে মোট ৫১টি নতুন নাজ্যমুল্যের দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী । এর ফলে সংশ্লিষ্ট ভোক্তাদের রেশন পরিষেবা গ্রহণে আধিকতর সুবিধা হবে, পাশাপাশি নতুন রেশন দোকানের জন্য ডিলারসিপ লাইসেন্স প্রদানের মধ্য দিয়ে আরও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। গত ৫ বছর সময়কালে রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমায় মোট ২৫২টি নতুন ন্যায্য মূল্যের দোকান খোলা হয়েছে ।
বর্তমানে রাজ্যের রেশন শপগুলিতে গনবণ্টনের আওতাধীন রেশন সামগ্রী ভর্তুকি মূল্যে বিতরণ ছাড়াও বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের উৎপাদিত চা পাতা, রান্নার গুড়ু মশলা, সয়াবিন, স্থানীয় সেল্প হেল্প গ্রুপের উৎপাদিত দ্রব্য, বিভিন্ন এফ এম জি সি প্রোডাক্ট সুল্ভ মূল্যে সরবরাহ করা হয় । এক্ষেত্রে একটি নতুন সংযুজন হিসেবে গোমতী ডেয়ারি দ্বারা উৎপাদিত দুগ্ধ জাত সামগ্রী রেশন শপের মাধ্যমে সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী । এরফলে একদিকে যেমন রাজ্যের সাধারন জনগণ উপকৃত হবেন অন্যদিকে ডিলাররাও উক্ত সামগ্রিগুলি বিক্রয় করে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন । প্রাথমিকভাবে সদর মহকুমায় বিভিন্ন এলাকায় মোট ১৫টি রেশন দোকান চিনহিত করা হয়েছে যেখানে পাইলট বেসিসে এই পরিসেবা শুরু করা হবে । পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে রাজ্যের অন্যান্য মহকুমায় এই পরিষেবা শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।।