যেখানে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল নেই, আজ সেখানে ইংলিশ মদের লাইসেন্স দিল সরকার। আর সেই ইংলিশ মদের কাউন্টার উচ্ছেদ করার জন্য স্থানীয় জনগণ সাংবাদিকদের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমক এর কাছে আবেদন জানালো। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, এবং রাজ্য সরকার নেশা বিরোধী যত বড় স্লোগান দেখ না কেন, কিন্তু বাস্তবে চিত্র দেখাচ্ছে অন্যরকম। এবার উত্তর তৈবান্দাল প্রাথমিক হাসপাতাল সংলগ্ন মদের কাউন্টার খোলা কে কেন্দ্র করে, অর্থাৎ বিলাতি মদের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে চলছে টানটান উত্তেজনা। যা প্রকাশ্যে দিনের আলোর মতন এই মদের কাউন্টারের বিরুদ্ধে, খুব প্রকাশ করল ওই এলাকার জনগণ।
এর কারণ যেখানে মদের কাউন্টারটি বসানো হয়েছে, সেখান থেকে তৈবান্দাল প্রাথমিক হাসপাতাল মাত্র ১০০ কিংবা ১৫০ মিটার হবে, তাছাড়া হাসপাতাল থেকে সোজা মোদের কাউন্টার আবার মদের কাউন্টার থেকে হাসপাতাল সোজাসুজি দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে, মা বোনেরা অভিযোগ করছে, এই বিলাতি মোদের কারণে হাজার হাজার পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে,যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে, চারিদিকে অসামাজিক কাজ দ্রুত গতিতে বেড়ে চলছে, তাছাড়া এই সমস্ত গ্রাম অঞ্চলে এই ধরনের মদের কাউন্টার খোলা হলে আগামী দিনে সমাজের উপর বড়সড় বিপদ আসতে পারে।
এই মদের কাউন্টার, অর্থাৎ এই বিলাতি মদের দোকান, যাতে করে তৈ বান্দাল এলাকার না হয়, স্থানীয় জনগণ মাননীয় ডিএম নিকট একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছিলেন। জানা গেছে, যিনি এ মদের লাইসেন্স পেয়েছেন তিনি একজন প্রতাপশালী ব্যক্তি,যার বাড়ি গোমতী জেলার উদুপুর কিল্লা।নাম বীরেন্দ্রমোহন জমাটিয়া, উনি স্থানীয় এক নেতাকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে, সে লাইসেন্স ও জায়গা হাতের কব্জায় এনেছেন যতটুকু জানা গেছে সূত্রের খব। ওই এলাকায় মোদের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে এতে কিছু হচ্ছে, কিন্তু নিরব দর্শকের ভূমিকা এমডিসি পদ্মলোচন ত্রিপুরা। সুতরাং এখনো একটা অন্যরকম সন্দেহ রয়েছে। অভিযোগকারীরা, আজকে সাংবাদিকদের মাধ্যমে এই ঘটনার সবিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন । তারা এই হুমকি দিয়েছেন যদি এখান থেকে এই বিলাতি মোদের দোকান প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে আগামী দিনে তারা রাস্তা নামবে। এখন দেখার বিষয় সরকার এই বিষয়ে কি প্রদক্ষেপ গ্রহণ করে।